দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু ও শনাক্তের হার কমেছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আটজনের। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭৩২ জনের শরীরে।
পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার কমে ৩ দশিমক ২২ শতাংশে নেমে এসেছে, মঙ্গলবার যা ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৩৫ শতাংশ।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে টানা ৫ দিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচেই থাকল। এছাড়া এর আগে আরও তিন দিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ঘরে ছিল।
এর আগে ৩ জানুয়ারি এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন ৬৭৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের হার এর চেয়ে কম ছিল ২ জানুয়ারি। ওইদিন পরীক্ষা বিবেচনা শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আরও আট দিন সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বগামী। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই তা নিচের দিকে নামতে থাকে।
শনাক্ত হারের সঙ্গে কমে এসেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। গত চার দিন দৈনিক করোনা শনাক্ত হাজারের নিচে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জেলায় কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। আর সব মিলিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৯ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫৩।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ ও নারী ৫ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, তিন জন, বরিশালে ও রংপুরে দুই জন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া রাজশাহীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় প্রথমবারের মতো। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিবেচনায় রোগীর অনুপাত ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
২০২১ সালের শুরুর দিকে করোনার এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলেও মার্চে আবার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে অক্টোবরের শুরুতে। তখন থেকে চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে।
তবে গত ৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর প্রাথমিক প্রমাণ মেলে। সেখান থেকে টানা প্রায় তিন সপ্তাহ বাড়ে সংক্রমণ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার গত মাসে স্কুল, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। বুধবার প্রাথমিকেও ক্লাস শুরু হলো। তবে এখনও অপেক্ষায় থাকতে হবে প্রাথ প্রাথমিকে। চলতি মাসের মাঝামাঝি হয়তো এতেও সশরীরে ক্লাস শুরু হতে পারে।