চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক কীটনাশক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে মা ও বাচ্চাসহ ১৫টি কুকুর-বিড়াল হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সোনাতনপুর গ্রামে গত তিনদিনে মারা যায় প্রাণীগুলো। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে মারা গেছে একটি কুকুর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত ওই কীটনাশক ব্যবসায়ী আব্বাস আলীর বাড়ি সোনাতনপুর গ্রামে।
সোনাতন গ্রামের শাহীন আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আব্বাস আলীর বাড়িতে থাকা পানির পাত্রে মুখ দেয় একটি কুকুর। পরে বাড়িতে মলমূত্র ত্যাগ করে কুকুরটি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাউরুটির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে এলাকার ১০ থেকে ১৫টি কুকুর হত্যা করেন আব্বাস। এর মধ্যে কিছু মা কুকুর ও বাচ্চা রয়েছে। একটি বিড়ালও মারা গেছে।’
একই এলাকার শফি উদ্দিন বলেন, ‘বিষ মেশানো ওই পাউরুটি খেয়ে হাঁস-মুরগিও মারা গেছে। প্রাণীহত্যা জঘন্যতম অপরাধ। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।’
বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত আব্বাস আলী বলেন, ‘কুকুরগুলো খুব বিরক্ত করত। আমার ছেলে ও আমাকে কামড়ও দিয়েছে। তাই বিষ দিয়ে কুকুরগুলো মেরে ফেলেছি।’
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে, ওই ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।’
অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।