ভোলার দৌলতখানে মেঘনা নদীতে তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার ৭ দিন পর নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতুলী মাছ ঘাট এলাকায় নদী থেকে বুধবার ভোরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ট্রলারডুবির ঘটনায় এ নিয়ে নিখোঁজ তিন জেলেরই মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল বলেন, ‘উদ্ধারকৃত মরদেহ দৌলতখান উপজেলার চরপাতার বেড়িবাঁধ এলাকার ২৫ বছরের মো. মমিনের। তার ভাই হুমায়ুন মাঝি ও আজগর মাঝি মরদেহ শনাক্ত করেছেন।’
এদিকে দৌলতখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, মেঘনায় মাছ ধরার সময় তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে তিন জেলে নিখোঁজ ছিলেন। কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের অভিযানে দুই জেলের মরদেহ আগেই উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের ৭ দিন পর আজ আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
ওসি জানান, ধনিয়া তুলাতুলী মাছঘাট এলাকায় স্থানীয়রা মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনার দুই দিন পর ২৫ ফেব্রুয়ারি ট্রলার মালিক আবদুর রহমান তাসরিফ-২ লঞ্চের চালক ও সুকানিসহ সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ৯ জেলেসহ মাছ ধরার একটি ট্রলার মেঘনায় ডুবে যায়। ওই সময় ৬ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন ৩ জেলে। ঘটনার পরদিন বিকেলে ২ জেলের এবং আজ এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। তাদের সবার বাড়ি চরপাতা ইউনিয়নের ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায়।