বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতি চলাচলের ১২টি করিডর সংরক্ষণে কমিটি

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২২ ১৩:৫৩

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন ১২টি করিডর কাগজে কলমে চিহ্নিত করা ছিল। কিন্তু জমির দাগ, খতিয়ান, জমির পরিমাণ, মালিক কারা- এসব তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। এবার মাঠপর্যায়ে থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য গঠিত কমিটি আগামী সপ্তাহে সভা করবে।’

বাংলাদেশে হাতি চলাচলের জন্য আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০১৬ সালে ১২টি করিডর চিহ্নিত করে।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এসব করিডর সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিল বন সংরক্ষণ অধিদপ্তর, যা গেজেটভুক্ত হবে।

করিডরগুলো মাঠ পর্যায়ে চিহ্নিত করে সংরক্ষণের জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত ১২টি করিডরের মধ্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ৩টি, উত্তর বনবিভাগের ৫টি এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের ৪টি।

এর মধ্যে ইতোমধ্যে তিনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। উখিয়া-ঘুমধুম, পানেরছড়া-তুলাবাগান ও নাইক্ষ্যংছড়ি-রাজারকুল করিডোর দিয়ে উখিয়া-টেকনাফ ও রামু বনভূমির হাতিগুলো বান্দরবান ও মিয়ানমারে চলাচল করত।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর উখিয়া-ঘুমধুম করিডোরটি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। রামুতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট তৈরির প্রকল্পের কারণে পানেরছড়া-তুলাবাগান করিডরটি ক্ষতিগ্রস্ত।

এছাড়া চুনতি অভয়ারণ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ কাজের জন্য চুনতি-সাতগড় করিডোরটিও এখন বন্ধপ্রায়।

বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এতদিন ১২টি করিডর কাগজে কলমে চিহ্নিত করা ছিল। কিন্তু জমির দাগ, খতিয়ান, জমির পরিমাণ, মালিক কারা- এসব তথ্য আমাদের কাছে ছিল না।

‘এবার মাঠপর্যায়ে থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য গঠিত কমিটি আগামী সপ্তাহে সভা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাতির ১২টি করিডরের মধ্যে ইতোমধ্যে অনেকগুলোই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে হাতির চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তবে এসবের মধ্যেও হাতির সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি এ বন কর্মকর্তার। বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা আনোয়ারা এলাকায় একাধিক হাতির বাচ্চা দেখেছি।’

গত তিন বছরে হাতির আক্রমণে মারা গেছে ২৪ জন। অন্যদিকে একই সময়ে ৪৪টি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হাতির চলাচল পথ সংরক্ষণের দাবি ওঠে।

গত বছরের ২১ নভেম্বর ১২টি করিডর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন হাতি নিয়ে কাজ করা ঢাকার তিন বাসিন্দা। ওই রিটে করিডরগুলো সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে গেজেটভুক্ত করতেও আদেশ চাওয়া হয় বলে জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর