ঝালকাঠির সদর উপজেলার পোনাবালিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাঁচ যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
পোনাবালিয়া ইউনিয়নে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজন বাড়ি ফেরেন। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের স্বজনরা জানান, কয়েক দিন আগে ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে রাকিবের সঙ্গে পাশের লালমোন গ্রামের পলাশ সিকদারের বিরোধ হলে স্থানীয়রা মিটমাট করে দেয়।
এরপর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পলাশ সিকদার ও তার ভাই রহমান সিকদার, রাকিবকে ফোন করে তাদের বাড়ির কাছে আসতে বলেন।
এ সময় রাকিব একটি অটোরিকশা করে এলাকার রিফাত, তাওহিদ, রফিক ও সোহাগকে সঙ্গে নিয়ে লালমোন সাইক্লোন শেল্টারের সামনে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র আগে থেকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওত পেতে থাকা পলাশ-রহমানসহ আরও ৩ থেকে ৪ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে রাকিবের পেট থেকে ভুঁড়ি বেরিয়ে আসে ও তার হাতের কবজির রগ কেটে ফেলা হয়, তাওহিদের মেরুদণ্ডে ছুরি ঢুকানো ছাড়াও অন্যদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের সবার বয়স ১৯ থেকে কুড়ি বছরের মধ্যে।
কোপানোর পর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে আশপাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিফাত ও তাওহীদের স্বজন কামাল আহম্মেদ, ইয়াসিন হাওলাদার ও মনির হোসেন বলেন, ‘আহত ৩ জনের মধ্যে একজনের প্রাণ বাঁচানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক।’
স্থানীয় ফারুখ সিকদার বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমোন গ্রামের সাইক্লোন শেল্টারের সামনে দুই গ্রুপ ধারালো রামদা ও ছুরি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পলাশ সিকদার ও রহমান সিকদার পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের তথ্য মতে হামলায় জড়িত পারভেজ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা হবে।’
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাকিবের সঙ্গে পলাশের ঝগড়া হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে আবার কেন সংঘর্ষ হলো বুঝলাম না।’
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা শুনে হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’