কিছু সময়ের জন্য গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার বিঘ্নিত হলেও ভবিষ্যতে তা সাদা পায়রার মতোই মুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এটা কথার কথা বা ফাঁকা বুলি নয় বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
ভোটার দিবসের উদ্বোধনী র্যালি শেষে বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
নুরুল হুদা কমিশন আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক ভোটারই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বলে দাবি করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রত্যেকের ভোটাধিকার রক্ষা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
যদিও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপির মতে, নতুন ইসিও আওয়ামী চেতনায় লালিত।
এমন বাস্তবতায় সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “এবারের ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করব ভোটাধিকার।’ এটা কথার কথা না; ফাঁকা বুলিও না। এটা আমাদের নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকার। আমরা এই অঙ্গীকার রক্ষা করব।”
তিনি আরও বলেন, ‘পায়রাকে যেভাবে খাঁচা থেকে মুক্ত করে দিয়ে শান্তির বার্তা দেয়া হয়, ঠিক সেইভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’
দেশে চতুর্থবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করছে ইসি। রাজধানীর মতো সারা দেশেই এ লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে নানা কর্মসূচির।
ইসি আয়োজিত র্যালিটি সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ কমিশনের সব পর্যায়ের কর্মীরা অংশ নেন। র্যালির শুরুতে পায়রা অবমুক্ত করেন সিইসি ও কমিশনাররা।
ভোটার দিবস উপলক্ষে বেলা ৩টায় হবে আলোচনাসভা। নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন সিইসি।
সে সময় ২১ জন নতুন ভোটারের হাতে তুলে দেয়া হবে স্মার্টকার্ড। ঢাকার মতো কর্মসূচি চলছে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে।