ফসলি ক্ষেতের মাটি অবাধে তোলা হচ্ছে, বিক্রি করা হচ্ছে তা ইটভাটায়। আইনের তোয়াক্কা করছেন না প্রভাবশালীরা।
নিষেধাজ্ঞা অমান্যের এমন চিত্র রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। প্রশাসন বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে নানা অজুহাতে।
পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরআফড়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায় সেখানে গতমপুর ব্রিজের কাছে ফসলি জমি থেকে এসক্যাভেটর মেশিন দিয়ে অবাধে তোলা হচ্ছে মাটি। সেখানে পুকুরের মতো গভীরতা তৈরি হলেও থামছে না মাটি বিক্রির তৎপরতা। এর ফলে আশপাশের কৃষিজমি পড়েছে হুমকির মুখে।
এলাকার লোকজন জানান, এসব মাটি ট্রাকে করে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। প্রতি ট্রাক মাটি ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছেন জমির মালিকরা। তাদের দাবি, জমিতে ফসল হয় না বলে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের এ কাজে পরিবেশ ও আশপাশের জমির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়টি মানতে নারাজ।
চরআফড়া গ্রামের তমিজ উদ্দিন মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘যেখান থেকে মাটি তোলা হচ্ছে, সেখানে ব্লকের ধান হতো। বন্যার পানি এসে বালু জমেছে, তাই ফসল হয় না।
‘নিজের জমি থেকে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করি। পরে মাটি ভরাট হয়ে যায়, না হলে মাছ চাষ করি।’
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে মাটি তুলে বিক্রির বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি ইউএনও কার্যালয় অথবা ভূমি অফিসের দেখার কথা।’
পাংশার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। চরআফড়ায় ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’