দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পথে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৮১৭টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৭৯৯ জনের শরীরে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে।
পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক শূন্য ৩৫ শতাংশ। একই সময়ে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৮ জনের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে টানা চার দিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচেই থাকল।
ফলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার প্রাথমিক ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হলো। গত শনিবার শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে। পরের দিন তা ৪ শতাংশে, আর গতকাল সেটি আরও কমে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ নামে।
গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আরও আট দিন সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বগামী। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই তা নিচের দিকে নামতে থাকে।
শনাক্ত হারের সঙ্গে কমে এসেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। গত তিন দৈনিক করোনা শনাক্ত হাজারের নিচে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জেলায় কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। আর সব মিলিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ২২ হাজার ১৫৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ৪৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ ও নারী ৩ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, তিন জন; রাজশাহী দুই জন।
এ ছাড়া ঢাকা, খুলনা, সিলেটে একজন করে মারা গেছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় প্রথমবারের মতো। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিবেচনায় রোগীর অনুপাত ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
২০২১ সালের শুরুর দিকে করোনার এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলেও মার্চে আবার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে অক্টোবরের শুরুতে। তখন থেকে চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে।
তবে গত ৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর প্রাথমিক প্রমাণ মেলে। সেখান থেকে টানা প্রায় তিন সপ্তাহ বাড়ে সংক্রমণ।
তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রম ছড়ায় বেশি। এই ধরনটিতে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম ছিল। করোনা সংক্রমণ উন্নতি হওয়ার খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বুধবার সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্কুলগুলোতে।