গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার বদলে ৫ ঘণ্টা গাড়িতে সিএনজি সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস পাওয়া যাবে না।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের মাথায় মঙ্গলবার থেকে তা বাড়ানো হলো আরও ১ ঘণ্টা।
পেট্রোবাংলার উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিম নিয়মিত মনিটরিংয়ে থাকবে। সিদ্ধান্ত মেনে না চললে সংশ্লিষ্ট সিএনজি স্টেশনের বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০’ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এর ফলে জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার কথা স্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে পেট্রোবাংলা।
গ্যাস-সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরেই প্রায়ই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছিল। তবে বিদেশ থেকে তরল গ্যাস বা এলএনজি আমদানি শুরু হওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় ধরে এই পথে আর হাঁটেনি সরকার। তবে এলএনজি নিয়েও এখন সংকট তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিতে কিছুটা ঘাটতি পড়েছে। সেই ঘাটতি পূরণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিক রাখতে চায় সরকার।
এই মুহূর্তে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৫৭টি। যেখানে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি।
এলএনজি ঘাটতি থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন কমবে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করাও কঠিন।