রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিদশর্ক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২২’ উপলক্ষে মঙ্গলবার কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে ধরনের আত্মত্যাগ করছে, এই ধরনের আত্মত্যাগ পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের চেতনাকে আরও শাণিত করে। আত্মার মাগফিরাত কামনা করা, পরিবারের জন্য সমবেদনা দেখানো, এই দুই লাইন তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান দিতে পর্যাপ্ত নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোতে ৩৪৬ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে ১৩৮ জনকে কর্তব্যরত অবস্থায় হারিয়েছি। আমরা সহকর্মী হারিয়েছি, প্রিয় মুখকে হারিয়েছে তার পরিবার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি এখন হুমকির মুখে।
‘সেই পরিবারের ঘুরে দাঁড়াতে আরও ২০ বছর লাগে। সেই পরিবারটিকে কিসের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তারাই বোঝে।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘হিরোকে যে জাতি স্বীকৃতি দিতে পারে না, সে জাতি হিরো তৈরি করতে পারে না। ৭১ একটা প্রমাণ জাতিগত বীরেরা কী করতে পারে। যখনই সুযোগ পেয়েছে বাঙালি জাতি প্রমাণ করেছে আমরা হিরো।
‘এখন যুদ্ধ নেই, আমাদের শান্তির সময়। এই সময়েও পুলিশ যুদ্ধে লিপ্ত আছে। এ যুদ্ধ অশান্তির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাস ও যারা সমাজের শান্তি নিরাপত্তা বিঘ্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত আমরা এ যুদ্ধে লিপ্ত আছি।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘যুদ্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা নিশ্চিত। প্রতিনিয়ত যেহেতু যুদ্ধ করছি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সে জন্য আমরাও প্রতি বছর আত্মত্যাগ করছি।’
অনুষ্ঠানে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে বিভিন্ন সহায়তা তুলে দেয়া হয়।