ভোলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে মাছ শিকার করায় ১৫ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হয়েছে জরিমানাও।
ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইনের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে মঙ্গলবার ভোরে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় জেলেদের থেকে পাঁচ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ১৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকতা জামাল হোসাইন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২ জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। তিন জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তাদের সচেতন করে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে জব্দ করা অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দ মাছ স্থানীয় মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
আটক জেলেরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, মো. আফসার, মো. দুলাল, শরিফ, আব্দুল মান্নান, মো. লিটন, মো. রাসেল, মো. আমির হোসেন, মো.ফয়সাল, মো.সুজন, মো. আসরাফ আলী, মো.আব্বাস, মারুফ, ইয়ামিন ও জাকির হোসেন।
মৎস্য কর্মকর্তা জামাল বলেন, ‘ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করায় প্রথম দিনে মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়।
‘ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।’
১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই মাস নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এই কর্মসূচির আওতায় ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা পয়েন্ট থেকে মনপুরা উপজেলার চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীতে ভোলা সদর উপজেলার চর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলেও জানান সদর উপজেলার এ মৎস্য কর্মকর্তা।