নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলামকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এসপি হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।’
উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ও নার্স শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা হত্যার প্রতিবাদে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। কাদের মির্জা বলেন, ‘গত এক বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জে সন্ত্রাস চলছে। এ এলাকার মনে হয় কোনো অভিভাবক নেই। আজকে প্রশাসন এখানে সব নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের ছত্র-ছায়ায় সন্ত্রাসীরা আমাকে গুলি করেছে।
‘প্রকৃত অপরাধীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, থানায় অবস্থান করছে। পুলিশ জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এটার সঙ্গে এসপি, ইউএনও-ওসি জড়িত। খুনির কাছে খুনের বিচার চেয়ে কোন লাভ নেই। এখানে আন্দোলন করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘এই এসপি অযোগ্য, অর্থব্য ও ঘুষখোর। তিনি নোয়াখালী থেকে না গেলে শান্তি আসবে না। এটার বিকল্প নেই। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারী-পুরুষকে রাস্তায় নামতে হবে। আমি কারও রক্ত চক্ষুকে ভয় করি না। আমার হারাবার আর কিছু নেই,পাওয়ারও আর কিছু নেই।’
বলরাম হত্যার সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের ওসি জড়িত বলেও অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।
কাদের মির্জার অভিযোগের বিষয়ে জানতে দুপুরে এসপি শহীদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে তার নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে পরিচয় জানিয়ে এসএমএস পাঠিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি।গত রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত বসুরহাট মডার্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন প্রিয়তা। পরের দিন সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী কারণে এ হত্যা তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
প্রিয়তা কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুরনবীর মেয়ে। তিনি সরকারি মুজিব কলেজ স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি বসুরহাট মডার্ন প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন।