প্রস্তাবিত পদনাম পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীত করার দাবিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দূরদুরান্ত থেকে আসা সেবাপ্রার্থীরা।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে কর্মবিরতি শুরু হয়, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্যরা।
কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, ৬৪ জেলায় কালেক্টরেটের কর্মচারীরা সোমবার থেকে এই কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে।
প্রথম দিনে কুমিল্লা কালেক্টরেটের আওতাধীন ১৭টি ইউএনও এসিল্যান্ড ও ভূমি অফিসের কর্মচারীরা অফিস চত্বরে জড়ো হন। সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় সই করে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি আবু হানিফ, সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, সহসভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক হেলাল, আবদুর রহিম, হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া, ছফিউল্লাহ মীর, জসিম উদ্দিন, হালিমা খাতুন, সহসাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ইউসুফ মজুমদার, সদস্য সাইফুল ইসলাম মুন্সী, অর্থ সম্পাদক আমান উল্লাহ, সদস্য আবুল বাসার, আবদুল মান্নান, কুলসুম আক্তার মীনাসহ আরও অনেকে।
কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি আবু হানিফ বলেন, ‘এক দেশে দুই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। সচিবলয়ের কর্মচারীরা একই পদে সমযোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে ঢুকে উপসচিব (ননক্যাডার) পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের ৩০/৩৫ বছর একই পদে চাকরি করে অবসর নিতে হয়। এ বৈষম্য-ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
এই কর্মসূচির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রার্থীরা। দীর্ঘ পথের ঝক্কি মাথায় নিয়ে সরকারি অফিসে এসে ফেরত যেতে হচ্ছে তাদের।
আব্দুর রহিম নামে একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাত সকালে না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। এখানে পৌঁছাতে পথে অনেক টাকা খরচও হয়েছে। কিন্তু সেবা পেলাম না। এভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সবাই যদি দাবি আদায় করতে নামে তবে আমরা যাব কোথায়।’
গ্রাহক ভোগান্তির বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।