চট্টগ্রামের সিআরবিতে জোড়া খুনের মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ৬৩ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালত সোমবার দুপুরে এই আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাতে তিনি জানান, ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাজু পালিত নামের এক যুবলীগ কর্মী ও আরমান নামের এক পথচারী শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এই ঘটনায় ৮৭ জনের নামে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ২০১৫ সালে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এর ১৫ মাস পর ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই।
পিপি জানান, পরবর্তীতে মামলার আসামি অমিত মুহুরী চট্টগ্রাম কারাগারে আরেক কয়েদির হামলায় নিহত হয়। সবশেষ সোমবার এই মামলায় ৬৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, যুবলীগ নেতা রিটু দাশ,ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা অমিত চক্রবর্তী শশি, যুবলীগ নেতা প্রেমাশীষ মুৎসুদ্দী, অজিত বোস, মোহন তাঁতী, খোকন চন্দ্র তাঁতী, অজিত দাশ, চান মিয়া, রাজু, রাকেশ, সুমন, টিটু দাশ, লাবলু ঘোষ, টিপু, আসলাম, ছোটন বড়ূয়া, সুমন চৌধুরী, শিবু দাশ চৌধুরী, শিমুল প্রসাদ পিন্টু, ফারুক, জসিম, মনির মিয়া, আনু মিয়া, ইউসুফ, জাহিদ, জহির, ফরিদ, মনির, মোহাম্মদ টিপু, ওসমান গণি দুলু।
বাকি অভিযুক্তরা হলেন মনোয়ারুল আলম চৌধুরী, জাহেদ, আমিন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরীফ আহমেদ, আমির হোসেন আমু, রায়হান আহমদ, কামরুল হাসান, নজরুল ইসলাম, রানা আহমেদ, মনিরুজ্জামান দিনার, হাসমত আলী রাসেল, সুজয়মান বড়ুয়া, জমির উদ্দিন, আবু জাফর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, রাজু মুন্সী, ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, জাফর, পিয়াল আইচ, তারেকুর রহমান, ইলিয়াছ, জাবেদ হোসেন, রুবেল চন্দ্র দাশ, নাজমুল হাসান, আশরাফুল হোসেন, মিলন, আশরাফুল আলম, রবিউল ইসলাম জিলানী, কিয়াস কুমার দাশ ও বিশ্বজিত দাশ।
এর মধ্যে সোমবার যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ এজহারভুক্ত ৫২ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।