রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করে আছে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের বাল্ক জাহাজটি। ইউক্রেন জলসীমায় অবস্থান করলেও ওই বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আসতে পারছে না। বর্তমানে জাহাজের ২৯ জন নাবিক ক্রু ওই জাহাজেই নিরাপদে আছেন। তবে দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তারা।
সোমবার বিকেলে ৩টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জাহাজে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও জ্বালানি মজুত আছেন। নাবিক-ক্রুরাও সুস্থ আছেন। তবে তাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক কাজ করছে। অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে রাশিয়ান সৈন্যরা মাইন পুঁতে রাখায় জাহাজ চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। বন্দরের কার্যক্রম চালু হলেই জাহাজটি স্থানীয় নাবিকের সহায়তায় আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিয়ে আসা হবে। তবে সেটি কবে নাগাদ হবে তা বলা যাচ্ছে না।’
জাহাজটির মাস্টার হলেন ক্যাপ্টেন জি এম নুর ই আলমের বরাতে ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জাহাজটি অলভিয়া বন্দর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বন্দর চ্যানেলে নোঙর করে আছে। জাহাজটির আশপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৫টির মতো জাহাজ রয়েছে। এখনও এ জলসীমায় কোনো জাহাজ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়নি।’
‘তবে বন্দর চ্যানেল থেকে ৬০ মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুদ্ধ জাহাজের বহর অবস্থান করছে। গত কয়েকদিন বন্দরের পাশের এলাকা থেকে গোলার আওয়াজ শোনা গেলেও আজ পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
গত ২১ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি তুর্কি বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বন্দর অলিভিয়ায় পৌঁছে। জাহাজটি সেখানে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতির অবনতি হলে শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়।