বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোগীর দোরগোড়ায় যাবে ডায়াবেটিস সেবা

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৫৭

বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দেশে ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তবে এ রোগের চিকিৎসা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৭৯ জন। বাংলাদেশ ডায়াবেটিকস সোসাইটি থেকে কিছু চিকিৎসক তৈরি করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে ডায়াবেটিক রোগীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো হবে।’

ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, স্থূলতা, হাড় ক্ষয়, প্রজনন সমস্যা ও হরমোনজনিত রোগের কয়েক কোটি রোগী রয়েছে দেশে। দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এত বিপুলসংখ্যক রোগীর সেবাদানে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এসব রোগের চিকিৎসাসেবা রোগীর দোরগোড়ায় পৌঁছাতে দুই চিকিৎসক সংগঠন সমঝোতা স্মারকে সই করেছে।

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সোমবার বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক ও পেশাগত বিশেষায়িত কারিগরি প্রশিক্ষণের বিস্তার নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এসব রোগ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ও সেবা নিশ্চিত করা হবে।

সমঝোতা স্মারক সই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দেশে ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তবে এ রোগের চিকিৎসা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৭৯ জন। বাংলাদেশ ডায়াবেটিকস সোসাইটি থেকে কিছু চিকিৎসক তৈরি করা হয়েছে। এসব চিকিৎসকের মাধ্যমে ডায়াবেটিক রোগীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো হবে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাদের টার্গেট করেই মূলত এই কাজগুলো করা। সে কারণে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা গ্রামাঞ্চলে সেবা দেন, তাদের আগে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাধ্যমেও এলাকার মানুষের সেবা নিশ্চিত করা হবে। রোগীকে সেবা নিতে আর রাজধানীতে আসতে হবে না। সেবা নিয়ে যাওয়া হবে রোগীর কাছে। এমন মনোভাব থেকেই দেশের প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে।’

দেশে থাইরয়েডের রোগী ৪ কোটি

বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা সেলিম বলেন, থাইরয়েড রোগী নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে থাইরয়েডের রোগী রয়েছে চার কোটি। করোনা মহামারিতে রোগীর এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিশাল একটি জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত হলেও শনাক্তকরণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এসব রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সম্মিলিত প্রয়াসে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখতে চাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ শাখার মাধ্যমে সম্প্রতি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স ও কমিনিউটি ক্লিনিক পর্যায়ে এই সেবা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এমনকি একটি ডাটাবেজ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ডাটাবেজের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়েই রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা পাবেন। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া (সহসভাপতি, ঢাকা মহানগর) ও অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর