বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-টরন্টো সরাসরি ফ্লাইট চালাবে বিমান

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৪৫

এই রুটে ফ্লাইট চালাতে গিয়ে ১৭টি শর্ত ছিল। এর মধ্যে ১৫টি পূরণ করা হয়েছে, দুটি বাকি আছে। সে কার্যক্রমও চলমান আছে। এরপর পরীক্ষামূলক ফ্লাইট যাবে। এগুলো করতে পারলেই এই রুটে ফ্লাইট চলবে: বিমান এমডি

আসন্ন স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে সরাসরি কানাডার রাজধানী টরন্টোতে ফ্লাইট শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান সদর দপ্তর বলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।

এ সময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা–টরন্টো ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এগোচ্ছি।

‘এই রুটে ফ্লাইট চালাতে গিয়ে ১৭টি শর্ত ছিল। এর মধ্যে ১৫টি পূরণ করা হয়েছে, দুটি বাকি আছে। সে কার্যক্রমও চলমান আছে। এরপর পরীক্ষামূলক ফ্লাইট যাবে। এগুলো করতে পারলেই এই রুটে ফ্লাইট চলবে।’

তবে ফ্লাইট শুরু করলেই হবে না, শুরু করে চালু রাখার বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বেসামরিক বিমান চলাচল সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমরা নতুন নতুন রুটে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি অচিরেই ঢাকা–টরন্টো, নিউ ইয়র্ক, মালেতে বিমান ফ্লাইট চালানো শুরু করব।’

ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা হয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং কানাডার টরন্টো হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যুক্ত হতে চেষ্টা বেশ কয়েক বছর ধরেই চালিয়ে আসছে বিমান। কিন্তু করোনার কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি।

বিমানের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বিমানের ফ্লাইটে টিকিট কেটে ঢাকা থেকে যাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কসহ যেকোনো গন্তব্যে।

এই উদ্যোগটি যখন নেয়া হয়, সে সময় বিমান জানিয়েছিল জাপান এয়ার এবং এয়ার কানাডার সঙ্গে এ-সংক্রান্ত কথাবার্তা পাকা করা রয়েছে।

এভিয়েশনের পরিভাষায় এয়ারলাইনসগুলোর এ ধরনের জোটকে বলা হয় কোড শেয়ার। দুটি এয়ারলাইনসের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি থাকলে একজন যাত্রী কোনো একটি এয়ারলাইনসের টিকিট কেটেই অন্য এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারেন।

বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইনস এ ধরনের চুক্তির ভিত্তিতে ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বাংলাদেশ এই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সম্ভাব্য যাত্রী হিসেবে ধরা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের, যারা ঢাকা হয়ে নারিতা বা টরন্টো দিয়ে তৃতীয় কোনো গন্তব্যে যাবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সেবা দিয়ে থাকে বিমান। আগে চললেও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিমানের ফ্লাইটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

বিমানের বহরে লম্বা দূরত্বে উড়তে সক্ষম অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ থাকলেও রুট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সেগুলোর সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন ও চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন মডেলের উড়োজাহাজ। এর প্রত্যেকটি টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।

লম্বা দূরত্বের মধ্যে বর্তমানে ফ্লাইট চালু রয়েছে শুধু লন্ডন রুটে। এ রুটে সরাসরি যেতে সময় লাগে প্রায় ১১ ঘণ্টা।

ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশপথে নারিতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা। আর সরাসরি টরন্টো যেতে সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। নতুন এ রুট দুটি চালু হলে উড়োজাহাজগুলোর সক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করছেন বিমান কর্মকর্তারা।

ঢাকা থেকে যে এয়ারলাইনসগুলো নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে, তারা সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ট্রানজিট দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। এতে অনেক সময় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে অনেক বেশি।

কোনো এয়ারলাইনসেরই ঢাকা থেকে সরাসরি টরন্টোতে ফ্লাইট নেই। বিমান আশা করছে, নারিতা ও টরন্টোতে ফ্লাইট শুরু করলে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক আন্তর্জাতিক যাত্রী তারা পাবে।

করোনার কারণে বর্তমানে জাপানে বাংলাদেশ থেকে যাতায়াতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটি উঠে গেলে নারিতায় ফ্লাইট শুরুর আশা করছে বিমান।

এ বিভাগের আরো খবর