নারী ও শিশুর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গের পাহারাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল থেকেই সোমবার দুপুরে মো. সেলিম নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেলিম কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সিআইডির অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুরে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সিআইডির উপপরিদর্শক কৃষ্ণ কমল বণিক জানান, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে এক নারীর ও ২৫ এপ্রিল এক শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের ১ নম্বর ইমার্জেন্সি মর্গে মরদেহদুটি রাখা ছিল।
মৃত্যুর আগে ধর্ষণ হয়েছিল কি না জানতে মরদেহদুটির আলামত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। দুটিতে একই বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে মরদেহে বলপ্রয়োগ বা কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
কৃষ্ণ কমল বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করে দেখা যায় ময়নাতদন্তের আগে মরদেহ দুটি হাসপাতালের ১ নম্বর ইমার্জেন্সির মর্গে ছিল। ওই মর্গে লাশ পাহারা দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন সেলিম। তাকে সন্দেহ হওয়ায় অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দেই। এরপর কাপে লেগে থাকা লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি। মরদেহদুটিতে পাওয়া শুক্রাণুর ডিএনএর সঙ্গে সেলিমেরটি মিলে যায়।’
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, সেলিমের নামে পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে জানালে তারা সেলিমকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: মরদেহের সঙ্গে যৌনতা: যেভাবে শনাক্ত যুবক
২০২০ সালের নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গের ডোমের সহকারীকে মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগে আটক করা হয়। মুন্না ভগত নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে পরে মৃত নারীদের ধর্ষণের মামলা হয়। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।
গত বছরের ৩০ মে মুন্নার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র জমা দেন।