বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আস্থা অর্জনই গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:০৩

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতা নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মেধা, পুঁজিসহ নানা চাপের। এর বাইরেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যা চিরায়ত। গণমানুষের বিশ্বাস অর্জনই এখন গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ। আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন না হলে সাংবাদিকতা গভীর সংকটে পড়বে। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ ও সুচিন্তিতভাবে অগ্রসর হতে হবে।’

সাংবাদিকতা এখন নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট। গণমানুষের আস্থা অর্জনই এখন গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ। এই আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হলে সাংবাদিকতা গভীর সংকটে পড়বে। এ ছাড়া কোনো জায়গা থেকে সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ কাম্য নয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সোমবার সাংবাদিক শাহ আলমগীর স্মরণে ‘সাংবাদিকতায় শিক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘সাংবাদিকদের বহু সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতা পেশাকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। আর সাংবাদিকতা কোনো জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রিত হোক, তা আমরা চাই না।’

কোনো সাংবাদিক যদি সাংবাদিকতার মূল্যবোধ না মানেন, তাহলে সাংবাদিকদের সংগঠনে তাকে রাখা হবে কি না তা ভেবে দেখার আহ্বান জানান অধ্যাপক সিদ্দিক।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতা নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মেধা, পুঁজিসহ নানা চাপের। এর বাইরেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যা চিরায়ত। গণমানুষের বিশ্বাস অর্জনই এখন গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ। আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন না হলে সাংবাদিকতা গভীর সংকটে পড়বে। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ ও সুচিন্তিতভাবে অগ্রসর হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা এখন সারা পৃথিবীতেই চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ তো পৃথিবীর বাইরে না। ২০১৭ সালে ইউরোপ ও আমেরিকায় রয়টার্স ফাউন্ডেশনের একটি জরিপের বিষয় ছিল ‘গণমাধ্যমকে মানুষ কতটা বিশ্বাস করে’। সেখানে ৬৩ শতাংশ মানুষ গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করে না বলে জানায়। সুতরাং বিশ্বাসযোগ্যতার সংকটটা গভীর।

গণমাধ্যমকর্মী আইনের বিষয়ও তুলে ধরেন এই সাংবাদিক নেতা। বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া তৈরির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম। ২০১৮ সালের খসড়া এখনও ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। তখন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক ছিলেন শাহ আলমগীর। তিনিও নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। সেই খসড়ার এমন পরিণতি আমরা ধারণাও করতে পারিনি।’

শাহ আলমগীর স্মরণে আলোচনা সভার বিষয়ের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘পিআইবির ডিজি থাকা অবস্থায় শাহ আলমগীর সাংবাদিকদের শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। কিন্তু ওয়েজ বোর্ডে দেখলাম গ্র্যাচুয়েটি কমানো হচ্ছে। বিষয়টি দেখে খুব অবাক হই। সব ক্ষেত্রেই সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা কমানো হচ্ছে, যা দুঃখজনক।’

বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘গণমাধ্যম আইন করা হচ্ছে। সেখানে কী আছে আমরা এখনও জানি না। এটি যেন কালো আইনে পরিণত না হয়। তা করার চেষ্টা হলে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

আলোচনা সভায় শাহ আলমগীরের স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম মায়া একটি ফাউন্ডেশন গড়ার ঘোষণা দেন শাহ আলমগীরের নামে।

তিনি বলেন, শাহ আলমগীরের নামে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে সাংবাদিকদের নানা সংকটে পাশে থাকার চেষ্টা করা হবে।

আলোচনা সভায় শাহ আলমগীরের ছোট বোন তাহমিনা খাতুন, আমিন আল রশিদ, মানিক লাল ঘোষ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন শাহ আলমগীরের ছেলে আশিকুল আলম দীপ ও মেয়ে অর্চি অনন্যা।

এ বিভাগের আরো খবর