বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইএলও কনভেনশন ১৩৮ মেনে নিচ্ছে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২০

ইউরোপের বাজারে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে ১৩৮ নম্বর সনদটি অনুসমর্থনের পক্ষে-বিপক্ষে মত চেয়ে ১২ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দুই দফা চিঠি দিয়েছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। ফলে কারও বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিপজ্জনক কাজ আর ১৪ বছরের আগে কোনো কাজে নিয়োগ করা যাবে না।

এই কনভেনশন অনুসমর্থনের মধ্য দিয়ে ইউরোপে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা ধরে রাখার অনিশ্চয়তা কাটছে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সনদ অনুসমর্থনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

আইএলও সনদে ১৫ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে কর্মে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে শিশুর বয়সসীমা ১৪ বছর, যা আইএলও কনভেনশন সমর্থন করে না।

তাই ইউরোপের বাজারে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে ১৩৮ নম্বর সনদটি অনুসমর্থনের পক্ষে-বিপক্ষে মত চেয়ে ১২ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দুই দফা চিঠি দিয়েছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এর আগে আইএলওর সাতটি কনভেনশন আমরা স্বাক্ষর করেছি। আরও সাবসিডিয়ারি ৩৫টি কনভেনশনও স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। ১৩৮ নম্বর যে কনভেনশনটি, সেটি একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশ স্বাক্ষর করেছে।

‘জেনারেল ভিউটা হলো, যেহেতু বেসিক এডুকেশন করতে ১৫ বছর লাগে, সুতরাং ১৫ বছরের কম কোনো বাচ্চাকে কাজে লাগানো যাবে না। দুই নম্বরে আরেকটু রিল্যাক্স করেছে। কোনো দেশ আর্থসামাজিক অবস্থার বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ বছর পর্যন্ত কমানো যাবে, এর ওপর না।

‘তিন নম্বরে বলেছে, এই যে ১৪ হোক বা ১৫ হোক, এই শিশুদের কোনো অবস্থাতেই কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। যেসব কাজে তাদের অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার বা জীবননাশের আশঙ্কা আছে সেই সব কাজে কোনোভাবেই এসব শিশুকে ব্যবহার করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হলো, এই যে ১৪ বছর বয়সে তাদের কাজে লাগানো হলো, এই রেফারেন্সটি সে যে সাবালক হয়েছে সেই হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটি তার বিয়ের বয়স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

‘বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমায় সে সাবালক হিসেবে বিবেচিত হবে না। মামলা-মোকাদ্দমায় যদি সে পড়ে, তাহলে তাকে শিশু অপরাধী হিসেবেই গণ্য করতে হবে।’

আইএলও কনভেনশন ১৩৮-এর মাধ্যমে মূলত শিশুশ্রমের চাইতে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ন্যূনতম শিক্ষা শেষ করার আগে যেন কোনো শিশুই শ্রমে প্রবেশ না করে, তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনকারী সদস্যরাষ্ট্রগুলোয় একটি দ্বিমুখী উদ্দেশ্য নিয়ে একটি জাতীয় নীতি মেনে চলতে হবে। একটি হলো কার্যকরভাবে শিশুশ্রম বিলোপ নিশ্চিত করা এবং তরুণদের পূর্ণাঙ্গ শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পর্যায়ে চাকরিতে বা কাজে নিয়োজিত হওয়ার ন্যূনতম বয়স ক্রমশ বাড়ানো।

কনভেনশন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়সের আগে কাউকে কাজে নিয়োগ করা যাবে না। তবে উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে তা ১৪ বছর করা হয়েছে। তবে বিপজ্জনক কাজে সাধারণভাবে ১৮ বছর বয়সের আগে কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। কিছু অবস্থায় সেটি ১৬।

এ বিভাগের আরো খবর