নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির আপত্তিকে পাত্তা দিচ্ছেন না কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। বরং আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলটির বক্তব্য নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো হাওয়া থেকে আনতে পারব না। ভাবটা এমন যে মঙ্গলগ্রহ থেকে না আনলে তারা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
‘পাকিস্তান থেকে আসলে মনে হয় তারা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া কাউকে তারা গ্রহণ করবে না, আইএসআই যদি না দেয়।’
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আগের দিন কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান করে নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নিয়েছে। সোমবার তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো গঠন করা এই কমিশনকে মেনে নেয়নি বিএনপি। তাদের অভিযোগ, এর আগেও দুটি কমিশন করা হয়েছিল সার্চ কমিটির মাধ্যমে। কিন্তু তাদের আয়োজনে দুটি নির্বাচন বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যিনি প্রধান হয়েছেন, তিনি অত্যন্ত দক্ষ একজন আমলা। আমি মনে করি, প্রধান নির্বাচন কমিশন তার টিমকে নিয়ে একটি সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশের মানুষকে উপহার দেবেন।’
এই কমিশনে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে সিইসি ছাড়া বাকিদেরকে চেনেন না বলেও জানান মন্ত্রী।
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির ভূমিকারও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য। বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, ১৮ সালে করেছে।
‘তাদের পায়ের নিচে মাটি নাই। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া দুজনেরই দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড হয়ে আছে। তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই তারা যেকোনো মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে চায়।’
রাশিয়া-ইউক্রেন কোনো পক্ষে নয়
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষ নেয়ার কথা সরকার ভাবছে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভায় কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের বিভিন্ন মিশনগুলোকে জানানো হয়েছে, যারা ইউক্রেনে আছে তারা যাতে শেল্টার পায় এবং সরিয়ে আনা যায়। আমরা এখনো যুদ্ধ অবজার্ভ করছি।
‘আমাদের অনেক বিটার এক্সপেরিয়েন্স আছে। কাজেই আমরা এখনই কোনো পক্ষ নিচ্ছি না। যুদ্ধ আমরা সমর্থন করি না। তবে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’