বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে সরকার, বিলোপ চান বিরোধীরা

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫২

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘মানুষের বাকস্বাধীনতার সীমারেখা আছে। গোপনীয়তারও প্রয়োজন আছে। যদি সেসব লঙ্ঘন হয় তা ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে।’

বাকস্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে মত দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা। আর আইনটি বিলোপ চেয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে সোমবার এমন বক্তব্য উঠে এসেছে।

প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি।

এতে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান মিজানুর এ চৌধুরী।

আহমদ হোসেন বলেন, ‘মানুষের বাকস্বাধীনতার সীমারেখা আছে। গোপনীয়তারও প্রয়োজন আছে। যদি সেসব লঙ্ঘন হয় তা ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে, ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রচার করলে বা ধর্মগ্রন্থ কিংবা রাসুলকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলে, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদের পক্ষে কথা বললে, পর্নো প্রচার করলে তা বন্ধে এমন আইনের প্রয়োজন আছে। সমসাময়িক সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এ আইনের প্রযোজ্য ক্ষেত্র রয়েছে।’

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল নাগরিক সমানাধিকার, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জবরদস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। কিন্তু এ ধরনের আইন এগুলোর বিরোধী। এর মাধ্যমে অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।’

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এ ধরনের আইন কাম্য নয়। জাতীয় সংসদে তাদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই এ আইন পাস হয়েছে।’

সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রত্যাহার হওয়া উচিত।’

আন্দালিব রহমান পার্থ দাবি করেন, ‘ভয়ভীতি দেখানোর জন্য, সাংবাদিক ও বিরোধী দলগুলোকে দমনের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি করা হয়েছে।’

জোনায়েদ সাকির মতে, এই আইন ‘সরকারের গদি রক্ষা আইন’। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে এর মাধ্যমে। এটা বাক-ব্যক্তি ও বিবেকের স্বাধীনতার বিপরীত।’

এ বিভাগের আরো খবর