বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যু কমে ৪, শনাক্তের হার ৩-এর ঘরে

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৮

গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত কমেছে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ আর মৃত্যু কমেছে ৬৮ শতাংশ। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট করে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার নামল ৪-এর নিচে। তবে ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯৭ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আরও আট দিন সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বগামী। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই তা নিচের দিকে নামতে থাকে।

একপর্যায়ে তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার প্রাথমিক ইঙ্গিত দিয়ে গত শনিবার শনাক্তের হার ৫-এর নিচে নেমে আসে। দ্বিতীয় দিনে তা ছিল ৪-এর কিছুটা বেশি, তবে সোমবার তা আরও কমে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

শনাক্তের এই হার গত ৩ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পাওয়া যায় ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যাটি গত ১০ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হলো ১৯ হাজার ৩৭ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জেলায় কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। আর সব মিলিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর সংখ্যা সমান, দুজন করে। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের দুজন। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের আছে একজন করে।

গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত কমেছে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ আর মৃত্যু কমেছে ৬৮ শতাংশ। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় প্রথমবারের মতো। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিবেচনায় রোগীর অনুপাত ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

২০২১ সালের শুরুর দিকে করোনার এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলেও মার্চে আবার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে অক্টোবরের শুরুতে। তখন থেকে চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে।

তবে গত ৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর প্রাথমিক প্রমাণ মেলে। সেখান থেকে টানা প্রায় তিন সপ্তাহ বাড়ে সংক্রমণ।

তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রম ছড়ায় বেশি। এই ধরনটিতে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এর সংক্রমণ হার বেশি হলেও রোগীর মধ্যে খুব বেশি জটিলতা দেখা যায়নি। ফলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো হাসপাতাল শয্যা, আইসিইউ শয্যার জন্য হাহাকার দেখা যায়নি, অক্সিজেনের স্বল্পতার বিষয়টিও সামনে আসেনি।

একপর্যায়ে সরকার ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাস্ক পরা ছাড়া বাকি সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়। চালু হয় শিক্ষাঙ্গনও। প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্কুলগুলোও এখন চালুর অপেক্ষা।

এর মধ্যে করোনার টিকাদানও পেয়েছে গতি। দেশে ১২ কোটি মানুষকে ২১ কোটি টিকা দেয়া হয়ে গেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজের টিকা আর দেয়া হবে না- এমন ঘোষণা দেয়া হলেও পরে তা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও এসেছে।

এ বিভাগের আরো খবর