আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতা কে হবেন, জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা না থাকায় এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সোমবার সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাই আইন অনুযায়ী তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাহলে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নেতা কে?’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত থাকলেও দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্নীতির একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজার পাশাপাশি ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন করাদণ্ড হয়েছে। এ কারণে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাদের কারও পক্ষে প্রার্থী হওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও হওয়া সম্ভব নয়।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও বিএনপির দুই জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কেন, সে প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি।
আবার অবশ্য বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনার শর্ত দিচ্ছে। পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করা হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জেনেই দলটি ক্ষমতায় যেতে ষড়যন্ত্র করছে।’
বিএনপি এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘তারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে হারাতে চেষ্টা করবে, সে জন্য সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।’
দলের কোন্দল-কলহ দূর করে এখন থেকেই আগামী নির্বাচনের জন্য তৈরি করতে হওয়ারও পরামর্শ দেন কাদের। বলেন, ‘গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। তাই এখন থেকেই শতভাগ প্রস্তুতি নিতে হবে।’
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দল করলে দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে। আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা চিরদিনের জন্য কাউকে নেতৃত্ব ইজারা দেননি। পকেট ভারী করার জন্য লোক সৃষ্টি করা যাবে না, দুঃসময়ের কর্মীরাই দলের আসল বন্ধু।’