বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন বছরের জন্য রপ্তানিনীতি অনুমোদন

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:০২

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘রপ্তানিপণ্য নিষিদ্ধ তালিকাও হালনাগাদ করা হয়েছে। আরেকটি বিষয় তিন থেকে চার মাস পর কমার্স সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন নিয়ে রপ্তানিনীতি মনিটর করা হবে এবং প্রয়োজন হলে মডিফাই করা হবে।’

এলডিসি গ্রাজুয়েশনকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২১-২৪ সালের রপ্তানিনীতি খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি খাতে চাহিদা ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের জন্য তিন বছর পরপর রপ্তানিনীতি পরিবর্তন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এটা আনা হয়েছে।

‘ডব্লিউটিও-এর বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যসেবা বহুমুখীকরণে অগ্রাধিকারমূলক পণ্যসেবা খাত চিহ্নিতকরণ, রপ্তানি শিল্পের পশ্চাৎ ও অগ্র সংযোজন শিল্প স্থাপনে সহায়তা করা, শ্রমনির্ভর রপ্তানি খাতে গুরুত্ব প্রদান করা, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সহজীকরণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি রপ্তানিনীতি ২০২১-২০২৪ বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পার্টিকুলারলি গ্রাজুয়েশনের বিষয়টি এখানে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনকে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। তারপর ২০২৬ এবং আরও তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ইইউতে আমরা যে গ্রেস পাব, তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ইকনোমিক ডিপ্লোমেসিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমাদের অ্যাম্বাসেডররা যারা আছেন, তারা ডিপ্লোমেটিক কাজের পাশাপাশি ইকনোমিক প্রমোশন, ক্যাম্পেইন এক্সপোর্ট ইমপোর্টে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

‘প্রত্যেকটি টপিক আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে আরও বেশি বিদেশি ফান্ড আনা যায়, কীভাবে এক্সপোর্টকে বৃদ্ধি করা যায় এটাও রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে কিছু সম্ভাবনাময় নতুন খাত যেমন- কৃত্রিম ফাইবার, হালাল পণ্য ও ফ্যাশন, মেডিক্যাল ও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী যেমন পিপিই, এটা তো আগে ছিল না, তারপর ফ্রিল্যান্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

পাশাপাশি দেশি কাঁচামাল ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে কীভাবে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে রপ্তানিনীতিতে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সব খাত যেন সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ত করতে সুনির্দিষ্ট নীতি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আমরা প্রাইমারি গুডস যাতে দেশের বাইরে পাঠিয়ে না দিই।

‘যেমন একটি উদাহরণ হচ্ছে, তুরস্ক। আমাদের কাছ থেকে র জুট নিয়ে যায়। তারা আবার ফাইনাল প্রডাক্ট বানিয়ে ইউরোপের বাজারে দেয়। আমরা অবশ্যই র জুট এক্সপোর্ট করব, কিন্তু পাশাপাশি ফাইনাল প্রডাক্ট যদি করতে পারি তাহলে ভ্যালু অ্যাড কিন্তু বেশি হচ্ছে। এগুলোকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য কিছু বিধিবিধান এখানে আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রপ্তানিপণ্য নিষিদ্ধ তালিকাও হালনাগাদ করা হয়েছে। আরেকটি বিষয় তিন থেকে চার মাস পর কমার্স সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন নিয়ে রপ্তানিনীতি মনিটর করা হবে এবং প্রয়োজন হলে মডিফাই করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর