সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগ এনে দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে আদালতে মামলার আবেদন জমা পড়েছে।
নিউজবাংলাকে সোমবার দুপুর ১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খায়রুল কবির রুমেন।
তিনি বলেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উজির মিয়ার ছোট ভাই ডালিম মিয়া মামলার আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে বিকেলে আদেশ দেবেন বিচারক ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার।
আবেদনে শান্তিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন ও পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা এসআই দেবাশিষ সূত্রধরকে আসামি করা হয়েছে।
ডালিম মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাত্র আবেদন করেছি। আপনাদের দ্রুত মামলার কপি দেয়ার চেষ্টা করছি।’
সুনামগঞ্জে গরু চুরির মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ৯ ফেব্রুয়ারি উজির মিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন এলাকার শহীদ ইসলাম, আক্তার মিয়া ও শামীম মিয়া।
তাদের মধ্যে উজির, শহীদ ও আক্তার ১০ ফেব্রুয়ারি জামিনে ছাড়া পান।
জামিনে মুক্তির ১১ দিনের মাথায় ‘চিরমুক্তি‘ হয় উজিরের। মৃত্যুর পর স্বজনরা অভিযোগ করতে থাকেন, থানায় নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন তিনি। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, জামিনের ১১ দিন পর কারও মৃত্যু হলে তাদের ওপর কোনো অভিযোগ আসতে পারে না।
উজির মিয়ার মৃত্যুর পর ঘটেছে আরও নানা ঘটনা। মরদেহ নিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। সে সময় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামানকে বহনকারী একটি গাড়ি উজির মিয়ার লাশ চাপা দিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের অভিযোগ, এসআই দেবাশীষ সূত্রধরের সঙ্গে উজিরের পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জেরে মামলা হওয়ার পর তাকে পেটানো হয়।
শুরুতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করতে একটি কমিটি করে। প্রশাসনও আরেকটি কমিটি গঠন করে।