ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০৭ ট পৌরসভার ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সোমবার ১২ ঘণ্টার ‘পশ্চিমবঙ্গ বন্ধের’ ডাক দিয়েছে বিজেপি। কর্মসূচি সফল করতে কর্মীদের পথে নামারও নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিকে বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধকে তৃণমূল রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে বলে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আগামীকাল রাজ্যে কোনো বন্ধ হবে না। সবকিছু খোলা থাকবে। আমরা এই বন্ধের বিরোধিতা করছি। তৃণমূল কর্মীরা সারাদিন রাস্তায় থাকবে। প্রশাসনও কড়া হাতে এই বন্ধ মোকাবিলা করবে।’
রাজ্যের ১০৭টি পৌরসভার ভোট ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্য। তিনি বলেন, ‘সোমবার সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্কুল-কলেজ খোলা থাকবে। চালু থাকবে পরিবহনও। জোর করে বন্ধ করানোর চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দমদমে আমাদের মহিলা প্রার্থীকে বুথের মধ্যে ঢুকে মারধর করা হয়েছে। একজনই সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভোট দিয়েছে। কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।’
তবে সিপিএম রাজ্যের পৌরভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাস ও ভোটে কারচুপির বিরুদ্ধে সরব হলেও বিজেপির ডাকা বাংলা বনধকে সমর্থন করেনি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ' আদতে বিজেপি তৃণমূলেরই পক্ষ।’
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বিজেপির ডাকা বন্ধকে সমর্থন করে বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমরাও বন্ধ ডাকতাম।’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির ডাকা বনধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপির ভোটে লড়ার ক্ষমতা নেই। রাজ্যের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে তারা এই বন্ধ ডেকেছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি।’
এদিকে ভোট শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের ১০৭টি পৌরসভার নির্বাচনে ৭৬ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে । পাশাপাশি যেসব অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে তার নিরিখে প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন এলে তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কমিশন।