পোশাক খাতের যন্ত্রাংশের আড়ালে ১১ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের চেষ্টাকালে ফিরোজ আলম ও মোহাম্মদ নিয়াতুল্লাহ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
এয়ারফ্রেইট থেকে রোববার দুপুরে মালামাল ছাড়ানোর সময় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আটক করে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘চীন থেকে গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজের আড়ালে অবৈধভাবে আমদানির সময় ঢাকা এয়ারফ্রেইট কাস্টমস গোয়েন্দা প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি স্বর্ণ (৯৬টি বার) জব্দ করেছে।
‘গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ কুরিয়ারে এসেছে তাই তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ যার নামে এসেছে, তাকে ট্রেস করতে পারব এবং মামলা করব।’
স্বর্ণের চালানসহ মালামাল ছাড়ানোর সময় আটক করা হয় ফিরোজ আলম ও মোহাম্মদ নিয়াতুল্লাহ নামে দুজনকে। ছবি: নিউজবাংলা
পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কুরিয়ারে আসা গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ ছাড়িয়ে নেয়ার সময় দুপুরে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
তাদের আমদানি করা ফেব্রিক্সের ভাঁজে সাদা প্লাস্টিকে মোড়ানো দুটি প্যাকেট পাওয়া যায়। মেটাল বাটনের ভেতর কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল স্বর্ণবারের চারটি বান্ডিল।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি বান্ডিল খুলে পাওয়া যায় ৬৪টি স্বর্ণবার, যার ওজন ৭ দশমিক ৪২ কেজি। আরেকটি বান্ডিল খুলে ৩২টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়, যার ওজন ৩ দশমিক ৭১২ কেজি।
চীন থেকে পোশাক খাতের যন্ত্রাংশ আমদানির আড়ালে এ স্বর্ণের চালান আনা হয়েছে। এই পাচারে আর কারা জড়িত, সেটি জানতে চেষ্টা চলছে। আটক দুজনকে পুলিশে হস্তান্তরের পাশাপাশি মামলা প্রক্রিয়াধীন।