মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হলে, ওই সব প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হলে জানাতে হবে আগে। অন্তত ৩ থেকে ৬ মাস আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সৈয়দা রাশিদা বেগম এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ।
বৈঠকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সব কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের জন্য এলাকাভিত্তিক ভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে ব্যবস্থা নিতেও মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে তাদের নিরাপত্তা ও সচেতনতা বাড়াতে ধর্ষণ, নারী পাচার, যৌতুক গ্রহণ ও বাল্যবিয়ের সুফল এবং কুফল নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে জোর প্রচারণা চাওয়া হয়েছে।
কর্মজীবী নারী হোস্টেল নির্মাণ ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রীতিলতা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে কর্মরত ১৮ কর্মচারীর বেতনভাতা জরুরি ভিত্তিতে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়েও বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়।
এ ছাড়া গত সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নিতে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।