ওয়াসার পানির দাম তিন গুণ বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আমি এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে এটিকে পুরোপুরি সমর্থন করি।’
নগরীর হড়গ্রাম এলাকায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও ওয়াসাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়ার চেষ্টা চলছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করার পরিবর্তে তারা লাভ-লোকসানের হিসাব কষছে। এমনটি আশা করি না। এটি পুরোপুরি অযৌক্তিক।’
বাদশা বলেন, ‘সবার আগে জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহ করা ওয়াসার মূল দায়িত্ব। এটি পালনে তারা ব্যর্থ হলে সে দায় তাদেরই। অধিক মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে জনগণ তাদের লোকসানের দায়িত্ব নিতে পারে না। আমরা ওয়াসাকে দানব হিসেবে দেখতে চাই না, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই।’
বাদশা বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষ বরাবরই সংগ্রামী। আমরা লড়াইয়ের মাধ্যমে অধিকার ছিনিয়ে আনতে জানি। পানির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সেটির ব্যত্যয় ঘটেনি। লক্ষ্য করছি- জনগণ সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ওয়াসার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে।’
১ মার্চের আগেই ওয়াসাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগে বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। এখন ওয়াসা নিয়ে খেলা হচ্ছে। জনজীবনে ব্যাপক দুর্গতি দেখা দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এই মূল্যবৃদ্ধি রমজান মাসে এসে কোথায় ঠেকবে, তা তাদের জানা নেই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফজলে হোসেন বলেন, ‘পানির দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানি হতে হবে। রাজশাহীর জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তার সঙ্গে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কোনো কথাই বলেনি। শুধু তাই নয়, এখানকার প্রত্যেক মানুষ কথা বলবে, তাদের যুক্তির ভিত্তিতে পানির দাম বাড়ানো হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে বাদশা বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষ বরাবরই সংগ্রামী। আমরা লড়াইয়ের মাধ্যমে অধিকার ছিনিয়ে আনতে জানি। পানির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সেটির ব্যত্যয় ঘটেনি। লক্ষ্য করছি- জনগণ সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ওয়াসার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতাসহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পানির মান নিয়ে রাজশাহী নগরবাসীর অসন্তোষের মধ্যেই গত জানুয়ারির শুরুতে পানির দাম আগের চেয়ে তিন গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াসা। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়াসার পানির বিল তিন গুণ বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়।