গতি ধীর হলেও দেশে করোনা সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৫৪৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ৮৬৪ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। একই সময়ে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
এর আগে টানা তিন দিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ঘরে ছিল। এরপর টানা দুদিন তা ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। শনাক্ত হারের সঙ্গে কমে এসেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। গত দুদিনই দৈনিক করোনা শনাক্তের হার হাজারের নিচে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৬৪ জন।
এ নিয়ে রোববার পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৮০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এদিন সকাল থেকে পূবর্বর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৬৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬ হাজার ৬৮৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে, পাঁচজন। এ ছাড়া রাজশাহীতে তিন ও খুলনায় একজন মারা গেছেন।
করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে পরপর ১৪ দিন এই পরিস্থিতিতে থাকলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে বলে ধরে নেয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নীতিমালা নির্ধারণ করেছে। একইভাবে কোনো ঢেউয়ে টানা ১৪ দিন শনাক্তের হার পাঁচের নিচে থাকলে সেই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সে সময়ে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও পরদিন থেকেই তা কমতে থাকে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কারণে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে প্রায় সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক। খুলে দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস চালু হবে ২ মার্চ।