বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এডিপি বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চমক

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:০৩

চলতি অর্থবছরের কর্মসূচিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ খরচ করতে পেরেছে তারা। সামগ্রিকভাবে সরকারি সব মন্ত্রণালয় খরচ করতে পারেনি এক তৃতীয়াংশও।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বাষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি বাস্তবায়নে জাতীয় হারকে ছাড়িয়ে গেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এডিপির ৬৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে তারা। যেখানে সামগ্রিকভাবে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৩০ শতাংশের কম।

রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ পর্যালোচনায় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ নেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি বিনিয়োগ প্রকল্প, দুটি কারিগরি সহায়তা এবং একটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন।

সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে এক হাজার ২০৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে দুই হাজার ৮১৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

গত ২৩ জানুয়ারি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারি সব সংস্থা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে ২৪ শতাংশ। এই সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ৫৬ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এই হার গত বছরের তুলনায় বেশি হলেও করোনার প্রাদুর্ভাব আসার আগের বছরের তুলনায় কম। গত অর্থবছর করোনার বছরে একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৫১ হাজার ২৬৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তবে তার আগের বছর ছিল ৫৭ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।

সামগ্রিক হারের তুলনায় শিল্প মন্ত্রণালয় এগিয় থাকলেও মন্ত্রী এখনও সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে।’

প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিসিক একটি বড় প্রতিষ্ঠান, তাই প্রতিষ্ঠানের সকলকে আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি/সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করা যাবে না।’

সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এর অনুকূলে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মন্থর গতিতে চলছে। কৃষকের দোরগোড়ায় সার সরবরাহ পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের কোথাও সারের মূল্য বৃদ্ধি, ওজনে কম, সারের বস্তায় ওজনে কম দেয়া ইত্যাদি পরিলক্ষিত হলে সিন্ডিকেটকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। বিসিকের জায়গা যাতে বেহাত না হয় এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা প্রকল্প কাজের অগ্রগতি এবং নির্দেশনাসমূহ অনুসরণে সচেষ্ট থাকার কথা বলেন। তিনি বলেন, দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের যে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে পালন করত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর