কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতিতে চাচার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফাহিম হোসেন নামে দত্তক নেয়া এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউনিয়নের শরিফপুর এলাকা থেকে শনিবার মধ্যরাতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কাজি হাসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে নির্মাণাধীন একতলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, শরিফপুর মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক মন্তাজ উদ্দিনের সন্তান না হওয়ায় ৫ মাসের শিশু ফাহিমকে দত্তক নেন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতোই ফাহিমকে লালন-পালন করে আসছিলেন তিনি।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শনিবার মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সে। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় মন্তাজ মিয়া ও তার স্ত্রী জোহরা আক্তারসহ স্থানীয় লোকজন ফাহিমকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে নিখোঁজের বিষয়টি রাত ১০টার দিকে গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।
পরে রাত ২টার দিকে মন্তাজ মিয়ার বাড়ি থেকে ৫০ গজ উত্তরে বড় ভাই মতিন মিয়ার নির্মাণাধীন ভবনের তালা খুলে ভেতরের একটি কক্ষে ফাহিমের মরদেহ দেখতে পেয়ে দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মন্তাজ মিয়া ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার সব সম্পত্তি স্ত্রী ও ফাহিমের নামে লিখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি প্রতিবেশী ও স্বজনদের জানালে তার বড় ভাই মতিন মিয়া কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হন।