কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ মীমাংসায় বসেছে সালিশ। আর সেখানে অভিযুক্তের সঙ্গেই মেয়েটির বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ১৩ বছর বয়সী এই মেয়ের বিয়ে হবে ১৮ বছর পূর্ণ হলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শুক্রবার রাতে স্থানীয় মাতব্বরদের নিয়ে এই সালিশ হয়।
মেয়েটির বাবা সালিশে উপস্থিত থাকলেও ধর্ষণকারী হিসেবে অভিযুক্ত ৫০ বছর বয়সী হরিদাস ভৌমিককে নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন। হরিদাস আদৌ পাঁচ বছর পর বিয়ে করবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে মেয়েটির বাবার। এ কারণে তিনি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেয় ওই কিশোরী। সে গর্ভবতী হওয়ার পর মা-বাবা ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার স্বামী বেশির ভাগ সময় বাড়িতে থাকেন না। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি। এই সুযোগে হরিদাস ভয় দেখিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। স্বাস্থ্য ভালো হওয়ায় আমরা মেয়েটার গর্ভবতী হওয়ার বিষয় টের পেয়েছিলাম না। সে ভয়ে সব কথা গোপন রেখেছিল।’
মেয়ের বাবা বলেন, ‘আমরা এলাকার মাতব্বরদের জানালে তারা সালিশে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। মেয়ের নামে ৩০ শতক জমিও লিখে দেয়ার কথা বলেছেন। তবে আসলেই হরিদাস বিয়ে করবে কি না, সেই দুশ্চিন্তা থেকে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার মামলা করবে বলে জানিয়েছে।
সালিশ বা ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে হরিদাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তার ছোট ভাই গৌরদাস ভৌমিক বলেন, ‘আদালতের মাধ্যমে দুজনের ডিএনএ পরীক্ষার পর যদি আমার ভাই দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা যেকোনো রায় মেনে নেব।’