বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৪ ঘণ্টায় ১ কোটি ২০ লাখ টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৪৮

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে শুরু থেকে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। যে কারণে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এটি বিরাট ঘটনা।’

করোনাভাইরাস থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশেষ ক্যাম্পেইনে ১ কোটি ২০ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। যার মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ টিকা আওতায় এসেছে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে শুরু থেকে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। যে কারণে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এটি বিরাট ঘটনা।’

টিকার এই বিশেষ ক্যাম্পেইন আরও দুদিন চলবে বলে শনিবার নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বলেছিলেন, ‘বিশেষ ক্যাম্পেইন ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভূমিকা টিকার। টিকাদান কর্মসূচির এক বছরে প্রায় ২১ কোটির কাছাকাছি ডোজ টিকা টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা দেয়ার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি। সেই ভালো অবস্থা ধরে রাখতে হবে। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা, আমাদের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একান্ত চেষ্টায় করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুধু তাই না, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ১ নম্বর অবস্থানে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো দেশ প্রস্তুত ছিল না। আমরাও প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা ২০ হাজার শয্যা করেছি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ১২০ হাসপাতালে। অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।’

নবীন ডাক্তারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের যে প্রান্তে আপনাদের নিয়োগ দেয়া হোক না কেন, সেই প্রান্তে ভালো সেবা নিশ্চিত করবেন। ভালো কাজ করবেন, উন্নতি আপনাদের পেছনে দৌড়াবে। গ্রাম এলাকায় অনেক গরিব লোক আছে, তাদের সেবা দিতে হবে, কারণ তারা বেসরকারি হাসপাতালের সেবা নেয়ার সুযোগ পায় না।’

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব ডা. এইচএম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খোরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীরসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর