দেশে করোনাভাইরাস সুরক্ষায় টিকা উৎপাদন করে গরিব দেশকে বিনা মূল্যে দেয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেশে টিকা উৎপাদন হবে। আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি এবং গরিব দেশকে বিনা মূল্যে দেয়া সম্ভব হবে।’
দেশে টিকা তৈরির অগ্রগতি কিছুটা হলেও সেটা অনেকটাই এখন থমকে গেছে। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় এই টিকা গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও বছর গড়িয়ে এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি। সেটা আদৌ কবে নাগাদ হবে সেটিও এখন ধোঁয়াশায়।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সফলভাবে ভূমিকা রাখছে, টিকাদান কর্মসূচি শুরু থেকে একটু সমস্যা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সংকট কাটিয়ে উঠে চমৎকারভাবে টিকা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় সফলভাবে ভূমিকা রাখছে। যে কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু তুলনামূলক কম।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এতসংখ্যক নিয়োগ আর কখনও হয়নি। জনগণের টাকায়, তাদের ট্যাক্সের টাকায় আমরা চিকিৎসক হয়েছি। নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসক হয়েছি। নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে অনেক দরিদ্র মানুষের ঘামে ভেজা উপার্জন আমাদের পেছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক হিসেবে একেকজন একেকটি প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের একেকজন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। এমনভাবে জনগণকে সেবা দিতে হবে, চিকিৎসার পর কোনো রোগীর মৃত্যু হলেও যেন রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের প্রশংসা করেন।’
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।