দুই বরের জন্ম একসঙ্গে, দুই কনেরও তাই। তাৎপর্যের বিষয় হলো, চারজনের বিয়ের ক্ষণও একই। শনিবার এমন জমাট সমীকরণের দুটি বিয়ে হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে।
ঈশ্বরদীর দড়িনারিচা এলাকার এক বাড়িতে শনিবার দুপুরে ধুমধাম করে একসঙ্গে এই দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওই বাড়ির মেয়ে সাদিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সেলিম নামের এক যুবকের। আর নাদিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সুলতানের। যমজ দুই বোন সাদিয়া-নাদিয়ার সঙ্গে যাদের বিয়ে হয় সেই সেলিম-সুলতানও যমজ ভাই।
আলোচিত এ বিয়ে দেখতে ওই বাড়িতে নেমেছিল স্থানীয়দের ঢল। কৌতূহলী অনেকেই তাদের পাশে বসে ছবি তুলেছেন। আমন্ত্রিত অতিথির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ছিল উৎসুক মানুষ।
স্বজনরা জানান, যমজ দুই বোন সাদিয়া খানম ও নাদিয়া খানমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে নওগাঁর মহাদেবপুরের যমজ দুই ভাই সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল দুই কনের গায়েহলুদ ও মুখ মিষ্টির আয়োজন। রাতে বাড়িটিতে ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তখন থেকেই মানুষের ভিড় বাড়ছিল। শনিবার কনের বাড়িতে হয় বিয়ের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা। তখন প্রতিবেশীসহ উৎসুক মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় বাড়ির মানুষকে।
যমজ কনের পিতা কুদ্দুস আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে কাপড়ের দোকানে এক ক্রেতা আসেন। যমজ মেয়ে দেখে তার ভীষণ পছন্দ হয়। তিনিই যমজ পাত্রের সন্ধান দেন। পরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।’
কনের মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছা ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। তবে একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন তেমনটা ভাবনায়ও ছিল না তার। মেয়েদের জন্য যমজ বর পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি বলে জানান স্বজনরা।
বর সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদের বাড়ি মহাদেবপুর থানার সাফাপুর ইউনিয়নে। সেখানে কচুপুড়ি গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে তারা।
বরপক্ষ জানায়, যমজ ছেলেদের জন্য যমজ মেয়ে পেয়ে সেকেন্দার আলী আলাপ করেন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। সবার সম্মতি পেয়ে বসেন আলোচনায়। দ্রুতই ঠিক হয় জোড়া বিয়ের এই দিনক্ষণ।