বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শব্দ দূষণের জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি

  •    
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:০৯

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘শব্দদূষণ রীতিমতো শব্দসন্ত্রাসে পরিণত হয়েছে। শব্দদূষণ কোথাও সহনীয় মাত্রায় নেই। হাসপাতাল এলাকায় শব্দের মাত্রা যেখানে ৪৫ ডেসিমেলে থাকার কথা, সেখানে ১০০ ডেসিমেলের নিচে পাওয়া যায় না।’

শব্দ দূষণকে ‘শব্দসন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

পবা ‘শব্দ সন্ত্রাস বাসযোগ্য নগরী ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ: শব্দ সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ শীর্ষক এই সমাবেশের আয়োজন করেন।

সমাবেশে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ আবু নাসের খান বলেন, ‘শব্দদূষণ রীতিমতো শব্দসন্ত্রাসে পরিণত হয়েছে। শব্দদূষণ কোথাও সহনীয় মাত্রায় নেই। হাসপাতাল এলাকায় শব্দের মাত্রা যেখানে ৪৫ ডেসিমেলে থাকার কথা, সেখানে ১০০ ডেসিমেলের নিচে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে অতি উচ্চমাত্রার শব্দ সৃষ্টিকারী সাউন্ড সিস্টেম এবং আতশবাজির শব্দও সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’

পরিবেশ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যানচালকদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অননুমোদিত যন্ত্রপাতি আমদানি এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্নই শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ। এই শব্দসন্ত্রাস প্রতিরোধে ব্যক্তিসচেতনতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, রাজউক ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

এ সময় তিনি সব উচ্চশব্দের উৎস নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি এর জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পুরান ঢাকার নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘পুরান ঢাকায় বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে পটকা ফোটানো, অতি উচ্চমাত্রায় গানবাজনা করার কারণে বিভিন্ন প্রাণী মারা যেতে দেখেছি। এ ছাড়া অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এটি প্রতিরোধে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হতে হবে।’

জাতীয় সচেতন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শব্দদূষণ আমাদের দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে শাস্তির ভয়ে কেউ শব্দ দূষণ করে না। কিন্তু বাকি সব জায়গায় সরকারি কর্তৃপক্ষের সামনেই শব্দ দূষণ করা হচ্ছে। এই সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার, বাংলাদেশ সাইকেল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম তাপস, মৃত্তিকা সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি খাদিজা খানম, আয়োজক ঢাকার সভাপতি মো. শাহজাহান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর