গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ প্রতিবাদে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোর মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সদর হাসপাতালে এবং একজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত থেকে আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদনকে মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে মশাল মিছিল করেছেন প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী।