বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউএই-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত

  •    
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৩৪

শনিবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুবাই সফরকালে এ কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে ব্যবসা-বিনিয়োগ বাড়াতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-বাংলাদেশ যৌথ বিজনেস কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

শনিবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুবাই সফরকালে এ কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হবে।

ওই অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর পক্ষে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। যৌথ বিজনেস কাউন্সিলের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব ইউএই চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দুই সভাপতি।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ফেডারেশন অব ইউএই চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এফবিসিসিআইর বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার রপ্তানিবাজার ধরা সহজ হবে। ইউরোপের সঙ্গেও ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বাড়বে।’

এফবিসিসিআইর এ উদ্যোগ এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার উন্মোচনের সুযোগ তৈরি করবে বলে মনে করেন তিনি।

কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে বিনিয়োগের জন্য পাঁচটি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন ফরেইন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ফিকির সভাপতি নাসের ইজাজ বিজয়। খাতগুলো হলো কৃষি ও হালাল খাদ্যপণ্য, হালকা প্রকৌশলী বিশেষ করে গাড়ির যন্ত্রাংশ, ব্যাংক ও বিমা, পেট্রোকেমিক্যাল ও বন্দর ব্যবস্থাপনা।

এ ছাড়া আইসিটি, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, প্রাইভেট ইক্যুইটি, অ্যাভিয়েশন, শিপিং ও ভ্যালু অ্যাডেড ( মূল্য সংযোজন) অ্যাগ্রো সার্ভিসখাতে ইউএইর বিনিয়োগ আকর্ষণ করার কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উইংয়ের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসীর মামুন।

এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল কাশেম খান পর্যটন সেবা ও বেসরকারি বন্দর খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দুবাইতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

বৈঠকে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদার খুঁজছে। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে দেশটি।’ বাংলাদেশেরও ইউএইর সঙ্গে এফটিএ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

চ্যালেন আইর বার্তাপ্রধান ও এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা শাইখ সিরাজ জানান, ইউএইতে বাংলাদেশি সবজি ও বীজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নার্সারি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে দুদেশের যৌথ উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। দক্ষ মানবসম্পদ ও খাদ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও দুদেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এফবিসিসিআইর আরেক প্যানেল উপদেষ্টা ও বিআইডিএসর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে যৌথ বিজনেস কাউন্সিলকে কাজে লাগাতে হবে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসএমই পণ্যের বাজার ধরতে একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআইর আরেক প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবিদ খা।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম.এ. রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবীর ও ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান, বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

এ বিভাগের আরো খবর