পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার মুরাদনগরে ২২ মাস বয়সী শিশুকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার আবদুর রহমান নামের শিশুটি ওই গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক জানান, শিশুটির কপাল ও মাথায় কোপানো হয়েছে। সেখানে পাঁচটি সেলাই লেগেছে; ডান চোখ এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। তার চারটি দাঁত ভেঙে গেছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটির মা রুজিনা আক্তার বাঙ্গরা বাজার থানায় নজরুল ইসলামকে প্রধান করে ১৩ জনের নামে মামলা করেন।
শিশুটির চাচি জোছনা বেগম জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তার দেবর শাহীন প্রাণভয়ে ভবনের ভেতর লুকিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখেন। সন্ত্রাসীরা শাহীনকে না পেয়ে বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করে।
শাহীন আলম বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধে আগেও বহুবার হামলা করেছে তারা। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়েছে দফায় দফায়।‘গত সোমবার সকালে হঠাৎ তারা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। আমার ছেলেটা বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা ছেলেকে দা দিয়ে কোপায়। একপর্যায়ে এগিয়ে গেলে আমাকে ও আমার স্ত্রীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে তারা।’
শাহীন আরও বলেন, ‘১১ মাস আগে তারা আমাকে মারার জন্য গুলি করেছিল। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।’
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা পালিয়েছে। এ ঘটনায় ‘জড়িত’ নজরুল, আল ইসলাম ও শুভ মাদক, চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তারা দফায় দফায় শাহীনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।