যতদিন দেশে করোনার অস্তিত্ব থাকবে, যতদিন টিকা লাগবে, ততদিন পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রি-প্রিপারেটর স্কুলের টিকাকেন্দ্রে শনিবার দুপুরে পরিদর্শনের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে স্থায়ী লোকের চেয়ে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বেশি। এ জেলার ৬০ লাখ মানুষের বাস। তবে বেশির ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। গত দুই দিনে পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত টিকা লাগবে, ততদিন পর্যন্ত টিকা চলবে।’
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছিলেন, ‘টিকার কোনো সংকট নেই। যতক্ষণ লাইনে মানুষ থাকবে, ততক্ষণ গণটিকা কার্যক্রম চলবে।’
এদিকে টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন আরও দুদিন চলবে বলে দুপুরে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ ক্যাম্পেইন ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘সারা দেশে উৎসবের আমেজ টিকা কার্যক্রম চলছে। ২০ হাজার টিকা কেন্দ্র আজকের গণটিকা কার্যক্রম হয়েছে। প্রায় এক লাখ স্বাস্থ্যকর্মী টিকাদান কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
‘আমরা আশা করি করি, এক কোটি মানুষকে আমাদের টিকা দেয়ার যে লক্ষ্য ছিল, সেটি আরও বেশি হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল-কলেজের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি। বাকিদেরও এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।’ যারা এখনও টিকা নেননি তাদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিস, সিভিল সার্জন আ ফ শ মশিউর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ২১৩ টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ জেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষকে আজ করোনার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হবে। টিকা কেন্দ্রগুলোয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি পোশাক কারখানার শ্রমিকরদের উপস্থিত বেশি ছিল।’