করোনাভাইরাস থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন চলবে আরও দুই দিন। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ ক্যাম্পেইন ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘সকাল থেকে টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন চলছে। টিকা নিতে মানুষের দীর্ঘ লাইনও চোখ পড়েছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে টিকার দীর্ঘলাইন বা মানুষের চাহিদা থাকবে, সেসব কেন্দ্রে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন যেসব টিকাদান কর্মসূচি চলছে, সেই একই নিয়মে এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
‘কয়েকদিন ধরেই আমাদের গণটিকা কর্মসূচি চলামান ছিল। আজ সবচেয়ে বড় পরিসরে হচ্ছে। অন্যান্য দিনে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত করোনা টিকা দেয়া হলেও যতক্ষণ লোক থাকবে, ততক্ষণ দেয়া হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচি ও বুস্টার ডোজের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
এর আগে সকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের। এ জন্য ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘এরই মধ্যে প্রায় ১১ কোটি মানুষ টিকার আওতায় আসছে। আজ ১ কোটি মানুষ টিকার আওতায় এলে দেশে ৭০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজের আওতায় চলে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের হাতে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। যতক্ষণ লোক থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত টিকাদান চলবে।’
বাংলাদেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল এক দিনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে, বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি।