১৯৯০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। এরপর আর পড়াশোনা করেননি। তবুও নামের মিলে নিজে নিজে বনে গেছেন চিকিৎসক। ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় রোগী দেখেছেন প্রায় এক যুগ ধরে।
অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়েছেন আব্দুর রশিদ সরকার নামের এই ভুয়া চিকিৎসক।
শনিবার তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুপম দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাদণ্ড পাওয়া আব্দুর রশিদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়।
নির্বাহী হাকিম বলেন, ‘আব্দুর রশিদ একজন পল্লী চিকিৎসক। ১৯৯০ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর আর পড়ালেখা করেননি। তবে এমবিবিএস ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রায় এক যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রোগী দেখে বেড়াতেন তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নামের মিল থাকায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার একজন মেডিক্যাল অফিসারের ডিগ্রি ব্যবহার করে এই প্রতারণা করতেন তিনি।’
‘বেশ কিছু দিন ধরে এই ভুয়া চিকিৎসক আদমদীঘির আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।’
রুপম দাস বলেন, ‘অভিযানে রশিদ ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
অভিযান শেষে আব্দুর রশিদকে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান নির্বাহী হাকিম।