বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বের চোখে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৩৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। একই সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচিতেও সফলতা দেখিয়েছি। টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে এখন বাংলাদেশের অবস্থান দশম। আগামী মাসের মধ্যেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব। এতে করে বাংলাদেশ বিশ্বের চোখে ঝুঁকিমুক্ত দেশ হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে।’

সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করে যাচ্ছে, একই সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচিতেও ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেই বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে এখন ভাইরাসটি থেকে ঝুঁকিমুক্ত বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার দুপুরে গণটিকা কর্মসূচির সার্বিক বিষয় নিয়ে নিউজবাংলাকে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। একই সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচিতেও সফলতা দেখিয়েছি। টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে এখন বাংলাদেশের অবস্থান দশম। আগামী মাসের মধ্যেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব। এতে করে বাংলাদেশ বিশ্বের চোখে ঝুঁকিমুক্ত দেশ হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে।’

এক দিনে এক কোটি টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই সুশৃঙ্খল ও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন। কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা নেই। দেশের মানুষকে স্বস্তিতে রাখতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।

‘এক দিনে এক কোটি টিকা দিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে চাই এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে করোনায় ঝুঁকিমুক্ত দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চাই। ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৮৬ ভাগ পূরণ করেছি।’

দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ২৮ কোটি টিকা কিনেছে সরকার। টিকার কোনো সংকট নেই। এখনও ৯ থেকে ১০ কোটি টিকা মজুত রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরও টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এমনকি প্রয়োজন হলে প্রথম ডোজ টিকাও নেয়া যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নিয়ে কিছুটা ব্যস্ত থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’

ক্যাম্পেইন না থাকলেও টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হবে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৬ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি।

তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ৬ লাখ মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর