পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক কিশোরীর মৃত্য নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়েটির স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আর মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই কিশোরীকে শুক্রবার দুপুরে আনা হয়। তখন সে মৃত ছিল বলে জানান চিকিৎসক রেজাউল ইসলাম।
মেয়েটির নাম রাবেয়া আক্তার। তার বয়স ১৫।
তার মা পারভিন বেগম জানান, প্রেমের সম্পর্ক থাকায় কাউকে না জানিয়ে ৭ মাস আগে আব্দুল্লাহ আকনকে বিয়ে করে রাবেয়া। মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে দোকান থেকে কেক এনে রাবেয়াকে দেই। সেটা খাওয়ার কিছু সময় পর থেকে আমার স্ত্রীর বমি শুরু হয়। আমি স্থানীয় সাফা বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসার পরে একটু সুস্থ হয়। তাকে বাসায় নিয়ে আসি।
‘রাতে বেশ কয়েকবার বমি করে। পরের দিন সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে।’
চিকিৎসক রেজাউল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রাবেয়ার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ দেখে বিষক্রিয়ার আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ভান্ডারিয়া থানা উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম হাফিজ জানান, মরদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।