নতুন কারিকুলামে একমুখী শিক্ষা চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা যে কতমুখী তার শেষ নেই। ভাষা শেখার গোড়াতেই গলদ। আমরা এখন ভাষাটাকে রপ্ত করতে চেষ্টা করছি। একমুখী শিক্ষা চালুর চেষ্টা করছি নতুন কারিকুলামে। যে যে মাধ্যমে পড়ুক, সবাই যেন একটি জায়গা পর্যন্ত একই ধারার শিক্ষা লাভ করতে পারে সে চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন আমাদের সব অনুপ্রেরণার উৎস। ভাষা আন্দোলনই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন ঢেলে দিতে হয়।
‘কিন্তু আমরা দেখেছি একটা সময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ব্যাপকভাবে বিকৃত করা হয়েছে। একুশকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু একুশের আগেও যে ভাষা আন্দোলন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে- সেটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে লুকিয়ে রাখতেই এটি করা হয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘তোমাদের দ্বারা মাতৃভাষা যেন আরও শুদ্ধ হয়। তোমাদের দ্বারা আমাদের আগামী দিনের লেখক, কবি, সাহিত্যিক যেন সৃষ্টি হয়। এই প্রযুক্তির যুগে তুমি সবকিছু করবে। কিন্তু মাতৃভাষার মর্যাদাকে সুউচ্চ রাখতে, ওই ভাষা লিখতে, পড়তে, বলতে তার শুদ্ধ উচ্চারণে হতে হবে আপসহীন।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আব্রাহাম লিংকন। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার।
আলোচনা সভা শেষে সরকারি সংগীত কলেজের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া এ সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।