বগুড়ার একটি কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই নৈশপ্রহরীর মরদেহ।
তারা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বগুড়া শিল্পনগরীর মাছু অ্যান্ড সন্স কারখানার নৈশপ্রহরী ছিলেন। ওই কারখানারই সেপটিক ট্যাংক থেকে শুক্রবার বিকেলে মরদেহদুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার সরলপুর এলাকার ৪৫ বছরের আব্দুল হান্নান এবং শিবগঞ্জ উপজেলার সাগরকান্দি গ্রামের ৬০ বছরের সামছুল হক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক।
তিনি জানান, ওই দুইজনের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
মাসুদ অ্যান্ড সন্সের সত্ত্বাধিকারী সাজ্জাদুর রহমান জানান, হান্নান ও সামছুল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সেদিন হান্নানের মুঠোফোন নম্বর থেকে তার কাছে এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল নিখোঁজদের ফিরে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তিনি সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাজ্জাদ জানান, শুক্রবার সকালে হান্নানের মোবাইল ফোন থেকে ফের একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘সামনে তোদের জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।’ এই এসএমএস পাওয়ার পর তারা কারখানার চারপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর দুজনের মরদেহ পেয়ে পুলিশে জানান।
সদর থানার পরিদর্শক জাহিদুল বলেন, ‘ওই দুই নৈশপ্রহরীর মাথার সামনে ও পিছনে একই রকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহদুটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।