বগুড়ার গাবতলীতে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক অনন্যা রায় শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে আসামি ইমনকে রিমান্ডে পাঠান।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।’
এর আগে উপজেলার চকবোচাই থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে আসামি ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাড়ি উপজেলার সোন্দাবাড়ী গ্রামে।
নিহত নাজিম উপজেলার দাঁড়াইল তরফসরতাজ গ্রামের পূর্বপাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি।
খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নিহত নাজিমের মা রাশিদা ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
অপর আসামিরা হলেন মো. ইভান, মো. ইরাশ, মো. রেজাউল, মো. আসিফ, তৌহিদ, রোহান, আল মাহমুদ, শ্রাবণ, শাওন, রহিম বাদশা, রাব্বি ও রকেট। তারা সবাই গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার বরাতে ওসি সিরাজুল বলেন, ‘মঙ্গলবার গাবতলী পাইলট স্কুলের মাঠে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল। ওই সময় নাজিমের প্রতিবেশি ভাই অন্তরের সঙ্গে ইরাশের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তর্ক হয়। পরে অন্তরের ফোন পেয়ে নাজিম সেখানে এলে ইরাশকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন। এ ঘটনায় ইরাশ, ইমনসহ আরও কয়েকজন নাজিমকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
‘এর জেরে বুধবার মামলার অভিযুক্তরা দাঁড়াইল বাজারে অবস্থান নেন। সন্ধ্যার দিকে পাশের গ্রাম ক্ষীদ্রপেড়ি থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নাজিমকে আটকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেন তারা।’
তিনি জানান, স্থানীয়রা নাজিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’