সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ষষ্ঠ গ্রেড ও সহ প্রধানদের সপ্তম গ্রেডের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে আগামী ঈদেই শতভাগ উৎসব ভাতা ও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো বাড়ি ভাড়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানান মাধ্যমিকের প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনটি।
দাবি আদায় না হলে আগামী ১১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও প্রত্যেক জেলায় মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
এ ছাড়া আগামী ১৫ মার্চ প্রতি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বাবুল বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আমাদের বিশ্বাস, এ দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষক, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শোভা পায়, আমরা রাজপথে যেতে চাই না। রাজপথ আমাদের জন্য নয়। তবে আমাদের এ দাবিগুলো মেনে না নিলে দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও দাবি আদায়ের জন্য এ দেশের শিক্ষক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।’
মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ প্রধানদের দুটি উচ্চতর গ্রেড দেয়ার দাবি জানান তারা।
এ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি এবং প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সহপ্রধানদের এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা এবং মুজিব বর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার দাবি করেন শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।